বরিশাল নগরীর মধ্যদিয়ে প্রস্তাবিত ফোরলেনে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ হাজারো মানুষ চরম উদ্বিগ্ন। কষ্টে অর্জিত ভবনসহ জমি হাতছাড়া হওয়ার আশংকায় বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন তারা। এ অবস্থায় সহায় সম্বল রক্ষায় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সাথে সাক্ষাত করেছেন ফোর লেনের সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শহর বাইপাস মহাসড়ক উন্নয়ন বাস্তবায়ন কমিটির মো. আবু জাফর, আলহাজ্ব জাকির হোসেন সুলতান ও মো. মুকিবুর রহমান মুকিবসহ নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসী সিটি মেয়রের বাস ভবনে গিয়ে এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানান।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, সরকার ফরিদপুরে ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ফোর লেন বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। ফোর লেনের কাজ হবে। যে কোন মূল্যে জনগণের সম্পদ রক্ষা করেই ওই ফোরলেন করা হবে। মানুষের সম্পদ রক্ষা করেই বাইপাস হয়ে ফোরলেন বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলবো। যাতে করে সাধারণ মানুষের সম্পদ ক্ষতি না করে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়।
নগরের সিএ-বি সড়কের দুই পাশের বাসিন্দারা জানান, নগরের মধ্য দিয়ে ফোরলেন হলে বরিশাল নগরীর গড়িয়ার পাড় থেকে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২ শতাধিক বহুতল ভবন ও ৩ শতাধিক ছোট-বড় ভবনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপসনালয়, সরকারি-বেসরকারি অফিস ফোরলেন সড়কের জমিতে পড়বে।
তারা বলেন, এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণসহ যাবতীয় কাজ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। যার কারণে সিএন্ডবি সড়কের আশেপাশে থাকা বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
তাদের দাবি, পূর্ব প্রস্তাবিত গড়িয়ারপার থেকে আবদুর রব সেরনিয়াবাত দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত শহরের বাইর থেকে বাইপাস সড়ক করা কথা। ওই বাইপাস সড়কের প্রস্তাবনা দীর্ঘদিন যাবৎ বরিশাল বাসীর প্রত্যাশা।
বরিশাল শহরের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া ফোর লেন সড়কটিতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও সড়কের আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ভারী ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটিতে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। যার কারণে বরিশালের সুশীল সমাজ দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের বাইর থেকে একটি বিকল্প বাইপাস সড়কের দাবি করে আসছে।
সূত্র মতে বরিশাল সড়ক বিভাগ বরিশাল বাইপাস সড়ক নির্মাণে শহরের বাইর থেকে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে মন্ত্রণালয় প্রেরণ করেছে যা আজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।