মেহেরপুরের গাংনীতে যুবদল নেতার গলাকাটা লাশ উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনীতে নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক যুবদল নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সহড়বাড়ীয়া-কামারখালী মাঠ থেকে গলাকাটা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যা হত্যার কারণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এবং বাঁশাবড়ায়ী গ্রামের মইনুদ্দীন শেখের ছেলে। তিনি বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সহড়াবাড়ীয়া-কামারখালী মাঠের এক বাবলা গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। পরে তার স্বজনরা গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। লাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন এবং গলা কাটা অবস্থায় ছিল।
লাশের পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল- ‘৫ বছর পরকীয়া প্রেম এবং শারীরিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে না করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়েছে’। তবে পুলিশের মতে, এ চিরকুটের প্রকৃত ঘটনা পরকীয়া নয়, হয়তো হত্যাকাণ্ডকে অন্য দিকে চালানোর উদ্দেশ্য হতে পারে, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতের ভাই আলামিন হোসেন জানান, আলমগীর হোসেন কিছুদিন আগে দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাতে আর ফিরে আসেননি। তার পরিবারও সন্ধান পায়নি।
গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহিদুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে তৎপর।