সড়কের দূরাবস্থার জন্য বরিশাল কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ

সড়কের দূরাবস্থার জন্য বরিশাল কালেক্টরেট স্কুলের  শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ

মাত্র একশ’ থেকে দেড়শ’ ফুট রাস্তার দূরাবস্থা। বর্ষা হলে পায়ে হেটে স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কাঁদা পানি মারাতে হয়। খানাখন্দে পড়ে বিভিন্ন যানবাহনের চাকা। দির্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ সহ্য করছে বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং অভিভাবকরা। ভূক্তভোগীরা এই ভোগান্তির অবসান দাবী করেছেন। শিঘ্রই ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কারের কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। 

বরিশাল জিলা স্কুলের কলেজ শাখার জন্য নির্মিত অব্যবহৃত ৩ তলা ভবনে ২০১৭ সালে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের জন্য নগরীর বান্দ রোডে পাবলিক লাইব্রেরী লাগোয়া জমিতে বহুতল ভবন নির্মান কাজ চলছে। নির্মান কাজ শেষ হতে সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। ১ হাজার ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ শাখায়। শিক্ষক-কর্মচারীও রয়েছে প্রায় অর্ধশত। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আনা-নেয়া করে শত শত অভিভাবক। 

বটতলা-বাংলাবাজার সড়কের একটি শাখা সংযোগ সড়ক দিয়ে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে যাতায়াত করেন বেশীরভাগ শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং শিক্ষক-কর্মচারীরা।  কিন্তু ওই সড়কের প্রবেশমুখে দুটি স্থানে বড় খানাখন্দের সৃস্টি হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ সকলের। 

ভূক্তভোগীরা জানান, রাস্তাটি মোটামুটি ভালোই ছিলো। রাস্তার পাশে মহিলা পলিটেকনিক এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রাবাস নির্মানের জন্য নির্মান সামগ্রী বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় দুটি স্থানে ১শ’ থেকে দেড়শ’ ফুট খানাখন্দের সৃস্টি হয়। এতে বর্ষার সময় পানি জমে কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। 

তাদের দাবী, মহিলা পলিটেকনিক এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রাবাস নির্মানের জন্য নির্মান সামগ্রী বোঝাই ভারী যান চলার কারনে সড়কের দুটি স্থান ভেঙ্গে দেবে গেছে। এতে যান চলাচল সমস্যা হচ্ছে। বর্ষায় ওইসব গর্তে পানি জমে থাকে। এতে পায়ে হেটে স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা পড়ছেন সব চেয়ে সমস্যায়। কাঁদা পানি না মারিয়ে ওই পথে স্কুলে যেতে পারেন না কেউ। অথচ মহিলা পলিটেকনিক এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রাবাস নির্মানের ঠিকাদার সামান্য কিছু ম্যাকাডাম বা খোয়া ফেলে রোলার চেপে দিলে আপাতত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু এ ব্যাপারে একেবারে উদাসীন ঠিকাদার। 

এ ব্যাপারে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খোন্দকার অলিউল ইসলাম বলেন, সামান্য একটু রাস্তা খারাপ। ওই রাস্তা দিয়ে ১ হাজার ৩শ’ শিক্ষার্থী চলাচল করে। রিক্সা-গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় ওই সড়কে পায়ে হেটে যাওয়া যায় না। একটি গাড়ি ওই পথ দিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়িয়ে থাকতে হয়। কখনও কখনও গাড়ি বা অন্য যানবাহন গেলে কাঁদা পানি ছিটে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম মেখে যায়। কাঁদা-পানিতে মাখা ইউনিফর্ম নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এতে তারা মানসিকভাবেও আহত হয়। দির্ঘদিন ধরে এমন দুরাবস্থার মধ্যে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা। মাত্র একশ’ থেকে দেড়শ’ ফুট ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগহীন অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য সিটি মেয়রের কাছে অনুরোধ জানান তিনি স্বীকার করেন। 

ওই ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের এস্টিমেটর মো. শাওন জানান, কিছুদিন আগে ওই রাস্তার এস্টিমেট করা হয়েছিলো। তখন একশ’ থেকে দেড়শ’ মিটার রাস্তা খারাপ ছিলো। হালনাগাদ এস্টিমেট করে করপোরেশনে জমা দেয়ার কথা বলেন তিনি। 

সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, কালক্টরেট স্কুলে যাতায়াতের সড়কটির একাংশের দূরাবস্থার খবর তারা জেনেছেন। বিষয়টি মেয়র মহোদয়কে অবহিত করে সংস্কারের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন তিনি।