ঔষধ প্রশাসনে রেমডেসিভির নমুনা জমা দিয়েছে বেক্সিমকো ও এসকেএফ

ঔষধ প্রশাসনে রেমডেসিভির নমুনা জমা দিয়েছে বেক্সিমকো ও এসকেএফ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর বলে পরিচিত ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদনের পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গবেষণাগারে নমুনা জমা দিয়েছে এসকেএফ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল জানান, শনিবার এসকেএফ তাদের উৎপাদিত ওষুধের নমুনা জমা দিয়েছে। আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস তাদের নমুনা গত বুধবার জমা দিয়েছে।

রুহুল আমীন বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলো ‘রেমডেসিভির’ বাজারজাত করার অনুমতি পাবে। তারা অথরাইজেশনের জন্য আবেদন করবে। পরীক্ষার ফলাফল যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে তারা মার্কেটিংয়ের অনুমতি পেয়ে যাবে।

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডেসিভির। গিলিয়েড এর নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।

রেমডেসিভির উৎপাদনের একচেটিয়া স্বত্ব রয়েছে গিলিয়েডের। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘ স্বীকৃত বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এসব পেটেন্ট বা স্বত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে। ফলে এসব দেশ সহনীয় মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করতে পারে। তবে এই ওষুধটি বর্তমানে খোলা বাজারে দেওয়া হবে না। এটা দেওয়া হবে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল বা ক্লিনিককে।

এসকেএফ, বেক্সিমকো ছাড়াও বাংলাদেশে ইনসেপ্টা, স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন, হেলথ কেয়ার, পপুলার এবং অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ওষুধটি উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।