কীর্তনখোলায় ঝাঁপ দিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহ্যার চেষ্টা

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে স্বর্না আক্তার (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রী। জেলেরা তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বেড়াতে এসে কীর্তনখোলায় ঝাঁপ দেয় ওই ছাত্রী।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কলেচজ ছাত্রী।
আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ছাত্রী স্বর্ণা পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠি এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং স্থানীয় ফজিলা রহমান মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু এলাকায় নদীতে মাছ শিকাররত জেলেরা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বর্না সুস্থ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতয়ালী মডেল থানার এসআই নিজাম মাহমুদ ফকির জানান, স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার জয় নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কারোর পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না। এ নিয়ে জয়ের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল তারা দুইজনে পিরোজপুর থেকে বরিশালের দপদপিয়া সেতুতে যায়। জয়ের সঙ্গে কথার এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় স্বর্নার। এ সময় রাগে ক্ষোভে সেতু থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেয় সে। নদীতে মাছ ধরারত জেলেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আজিজ খলিফার বাড়ি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বর্নাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের মেডিসিন (মহিলা) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সে সুস্থ্য আছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্বর্নার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে বলে জানান কোতয়ালী মডেল থানা ওসি মো. নুরুল ইসলাম।