খালেদা জিয়া জেনারেল নিয়াজির মেয়ের মতো ছিলেন। তাকে পাকিস্তানি সেনারা সম্মান করেছে কিন্তু বাংলাদেশে তিনি সম্মান পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে তেজগাঁওয়ে এলডিপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে খালেদা জিয়া সম্মান পেলেও নিজ দেশের লোকের কাছে তা পাচ্ছেন না। যারা জাতির পিতার সন্তান দাবি করেন, তাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সম্মান নেই।’
‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী খালেদা জিয়াকে কেন এত সম্মান দিয়েছিল ’-এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন বলে উল্লেখ করে অলি আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনারা খালেদা জিয়াকে সম্মান দেওয়ার কারণ হলো, সেখানে কর্নেল নিয়াজি। যিনি ছিলেন জিয়াউর রহমানের প্রথম অধিনায়ক। প্রথম অধিনায়ক হলেন বাবার মতো আর সেই ব্যাটালিয়নের অন্যরা হলেন সন্তানের মতো। অফিসারদের স্ত্রীরা ছিলেন তার মেয়ের মতো।’
এই সরকার হয়তো টিকবে না মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘কারণ, তাদের নির্বাচিত করেছে ২ লাখ পুলিশ। এখানে মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যে কারণে এমপিরা টেলিফোন করলে এসব পুলিশ কর্মচারী ধরে না। তারা বলে এমপিদের টেলিফোন ধরবো কেন? তারা তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত নন, আমাদের বানানো এমপি। আজকে রাজনীতিবিদের সম্মান নেই।’
তিনি দাবি করেন, সেনাবাহিনীর লোকেরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু না করলে কেউ মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারতেন না। এ প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয় না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয় না। লালদিঘির মাঠে বক্তব্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয় না। মুক্তিযুদ্ধের জন্য সশস্ত্র বিপ্লব লাগে। এই বিপ্লব আমরা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ৮ম রেজিমেন্ট শুরু করেছিলাম। সেই সম্মানটুকুই খালেদ জিয়াকে দেখানো উচিত। কারণ, তিনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন।’
খালেদা জিয়ার খালেদা জিয়ার বয়স, অবদান ও জিয়াউর রহমানের অবদান বিবেচনা করে তাকে অবিলম্বে চিকিৎসা জন্য মুক্তি দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের প্রতি অনুরোধ জানান অলি আহমদ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফরের সমালোচনা করে অলি আহমেদ বলেন, ‘দেশে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি, অথচ প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি কেনো বিদেশে অবস্থান করছেন, দেশের মানুষ তা জানেন না।’
বিদেশ থেকে ডেঙ্গুর ওষুধ আনার প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করে অলি বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকলে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ওষুধ নিয়ে আসতাম।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোট শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুনির হোসেন কাসেমী, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।