ঘুষ দাবির অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঘুষ দাবির অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজের নিম্নমান সহকারীর কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। একই পদে ঘুষ নিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মামলা করেন কলেজের নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. হারুন শেখ ওই মামলা দায়ের করেন। গত ২১ এপ্রিল বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত বৃহষ্পতিবার আদালত ওই পদে নতুন নিয়োগের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে নোটিশ প্রদান করেছে। গতকাল শুক্রবার হারুন শেখ জানান, ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজটি এমপিও ভুক্ত করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ওই কলেজের উপরোক্ত পদে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর পরীক্ষার মাধ্যমে বৈধ নিয়োগ হিসেবে তিনি ওই পদে অফিস আদেশে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন। শুরুতে তার (হারুন শেখ) কাছ থেকে উন্নয়ন কাজের কথা বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই লাখ টাকা গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রয়ারি এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। ওই তালিকার ১৫ নম্বর ক্রমিকে তার (হারুন শেখ) নাম রয়েছে। কলেজ এমপিওভুক্ত হওয়ার পর বেতন উত্তোলনের জন্য তিনি ব্যাংকে হিসাব খোলার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানান তার এমপিওভুক্ত হয়নি। হারুন শেখ আরও জানান, বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলাল হোসেন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবায়দুল হক শাহীনের কাছে জানতে চাইলে তারা গভর্নিং বডির সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের কথা বলে তার কাছে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৮ মার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উপায়ান্তু না পেয়ে তিনি বাদি হয়ে গত ২১ এপ্রিল বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘোষিত দ্বিতীয় দফার অবৈধ নিয়োগের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও কারণ দর্শানো নেটিশ দেয় আদালত। গত ২২ মে বিবাদীরা কারণ দর্শানো নোটিশ পাওয়ার পর ২৩ মে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আলাল হোসেন, গভর্নিং বডির সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও আগরপুর কলেজের অধ্যক্ষ এবায়দুল হক শাহীন, শিক্ষক প্রতিনিধি শংকর বাড়ৈ, মুন্নী আক্তার এবং বীরশ্রেষ্ঠর সহদর মঞ্জুর রহমান বাচ্চু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এক প্রার্থীকে দ্বিতীয় দফার ঘোষিত অবৈধ নিয়োগে পূর্ণবহাল করার জন্য জরুরী বৈঠক করেছেন। বীরশ্রেষ্ঠর নামের কলেজের নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর অসহায় হারুন শেখ তার বৈধ নিয়োগ বহাল রেখে এমপিওভুক্তি হয়ে সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।