ছাত্রদল নেতা জিয়াউল এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

ছাত্রদল নেতা জিয়াউল এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকাবাসী অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে এক সময়ের ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হাসানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে। সে সাগরদী আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার হামিদ খান সড়কেরে মো. মুনসুর মাস্টারের ছেলে। এমনকি ২০১৪ সালে সাগরদী এলাকায় বিএনপি’র সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে কোতোয়ালী মডেল থানার তৎকালীন এএসআই মো. মোস্তাফিজ ছাত্রদল নেতা জিয়াউলকে গ্রেফতার করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ। তবে জিয়াউল হাসান বর্তমানে নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিচয়ে এবং মেয়রের লোক হিসেবে নিজেকে জাহির করে এলাকায় ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। তার কারনে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দোকাণীরা পর্যন্ত ঠিকমত ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিয়াউলের বড় ভাই মো. হাসান ছাত্রদলের ২৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি (প্রস্তাবিত) ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, ছাত্র জীবন থেকে জিয়াউল ও তার ভাই হাসান বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। আকস্মিকভাবে জিয়াউল ক্ষমতাসীন দলের নেতা সেজেছে। এখন আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করছে। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এহেন কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নেই যা জিয়াউল করছে না। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালণা করে জিয়াউল বীরদর্পে জানিয়েছে সে আওয়ামী লীগ নেতা তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোন মামলা নেবে না। আর আওয়ামী লীগের কিছু লোক তাকে প্রশ্রয় দেয়ায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যে জিয়াউলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দোকানী জাহিদ তার দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। জিয়াউলকে বাকীতে জিনিসপত্র না দেয়া এবং দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় জিয়াউল তাকে দোকান খুলতে নিষেধ করায় সে দোকান খুলতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে তার দোকান বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজণ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চাঁদা না দেয়ায় অটোচালক সোহেলকে হাতুড়ি পেটা করে জিয়াউল। দীর্ঘদিন দিন সোহেল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকী না দিলে সাগরদী এলাকর চা দোকানী সুলতানকে কারণে-অকারণে মারধর করে দোকান বন্ধ করে দেয় জিয়াউল। প্রতিউত্তর করলে মারধরের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সাগরদী এলাকার যেসব দোকান থেকে জিয়াউল বাকী নেয় ওই টাকা আর ফেরত পায় না কেউ। এছাড়া ওই এলাকায় নতুন বাড়ি ও জমি ক্রয় করতে আসা ব্যক্তিরা চাঁদা না দিলে তারা কোনভাবেই এলাকায় আসতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জিয়াউল। এ জন্য জিয়াউল তাদের সাথে প্রথমে খারাপ আচরন করে। এরপরও তারা চাঁদা না দিলে শুরু হয় মারধর। এ সময় জিয়াউল নিজেকে বর্তমান মেয়রের লোক পরিচয় দিয়ে সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে আমি আওয়ামী লীগের লোক আমার বিরুদ্ধে কোন থানায় মামলা নেবে না। কাজেই আমার দাবি পূরণ না করলে তাদের অবস্থা খুব খারাপ হবে। আর জিয়াউলের সাথে সেখানকার কিছু আওয়ামী লীগ নেতা সম্পর্ক থাকায় স্থানীয়রা টাটু শব্দ পর্যন্ত করতে পারেন না। তাছাড়া জিয়াউলের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসারও অভিযোগ। এ কারণে ওই এলাকায় মেদক সেবীরা তার কাছে ভিড় জমায়। তাদের সাথে নিয়েই চলে তার দহরম মহরম। বিষয়টি কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জিয়াউল ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃৃৃক্ত। তাকে বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচীতে দেখা গেছে। এমনকি সরকার বিরোধ বিক্ষোভ মিছিল থেকে জিয়াউল গ্রেফতারও হয়েছিল। হঠাৎ করে ছাত্রদলের ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ নেতা বনে যাওয়া জিয়াউলের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে সেখানকার বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কথিত আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হাসানের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।