জরুরি পরীক্ষার খরচ নির্ধারণ করোনায়

অক্সিজেন সিলিন্ডার, সিলিন্ডার রিফিলিং ও হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবহার খরচসহ করোনাভাইরাস রোগীদের দশটি জরুরি পরীক্ষার মূল্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে জানানো হয়েছে হাইকোর্টকে। তবে ওই মূল্য তালিকা এখনও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রোববার জনস্বার্থে করা একটি রিট মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা। আর এ প্রতিবেদনের উপর শুনানি করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।
আদালত বলেছে, সরকারি-বেসরকারি যেসব হাসাপতাল করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিচ্ছে, সেসব হাসপাতালের সামনে উন্মুক্ত স্থানে নতুন এ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে। আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এবিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া এ তালিকা এখনই প্রদর্শন করা যাবে না।
আদেশের পর রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি (ইউজার ফি) নির্ধারণ, ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশের বিধান যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন ও হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন ও সারা দেশে জেলা সদরে ৩০ শয্যার আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনের অগ্রগতি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
‘এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাভাইরাস রোগীদের ১০টি পরীক্ষাসহ অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ করেছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যেসব হাসপাতাল করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিচ্ছে, আদেশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সেখানে এই মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে।’
এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে নতুন মূল্য তালিকাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সে মূল্য তালিকার অনুমোদন এখনো আমরা পাইনি।
তাহলে সেটি প্রদর্শন করা যাবে কিনা জানতে চাইলে ফরিদ হোসেন বলেন, অনুমোদনের আগে এ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা যাবে না।
হাইকোর্টে জমা পড়া প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ সেপ্টেম্বর এক সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ ও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কিছু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে। সে সভায় বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং কিছু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন।