তরমুজ চুরির অপবাদে শিশুকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, আদালতে মামলা

তরমুজ চুরির অপবাদে শিশুকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, আদালতে মামলা

তরমুজ চুরির অভিযোগে একটি শিশুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাত পা বেঁধে নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো: মশিউর রহমান খান রোববার মামলাটি গ্রহন করে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হল, বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আদাবাড়ীয়া গ্রামের আবদুল মোতালেব মিয়ার ছেলে সবুজ, সেকান্দার মুন্সির ছেলে মামুন ও সবুজের বাবা আবদুল মোতালেব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিশু আদালতের বিশেষ পিপি মো: মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

জানা যায়, একই গ্রামের মো: আলম মিয়ার নাবালক ছেলে ছাব্বির রিফাত (১৬) কে  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই তিনজন আসামী বাদী মো: আলমের বাড়ীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। বাদী মো: আলম তার ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খোজ করতে গিয়ে প্রতিবেশী আবদুস সালাম বাদীকে জানায় ওই আসামীরা বাদীর ছেলে ছাব্বির রিফাতকে তুলে নিয়েছে। বাদী ও তার স্ত্রী রিজিয়া বেগম আসামী সবুজের বাড়ীতে রাত ৯ টায় যায়। বাদীর সামনে ওই তিনজন আসামী ছাব্বির রিফাতকে পিটাতে থাকে। বাদী মো: আলম বলেন, আমার ছেলে ছাব্বির রিফাতকে আমার বাড়ীর  সামনে থেকে তরমুজ চুরির অপবাদে ওই তিনজন আসামী তুলে নিয়ে সবুজের ঘরের বারান্দায় ছাব্বির রিফাতের হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সমস্ত শরীর রক্তাক্ত জখম করে। আসামীদের নিষ্ঠুর নির্যাতনে আমার ছেলে প্রসাব করে দেয়। আমি ও আমার স্ত্রী আসামীদের হাত পা ধরলেও আসামীরা নির্যাতন বন্ধ করেনি। এক পর্যায়ে আমার ছেলে জ্ঞান হারায়। তখন আসামীরা আমার ছেলের উপর নির্যাতন বন্ধ করে। আমি ছেলেকে নিয়ে বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে আসামীরা বাধা দেয়। পরের দিন আমার ছেলেকে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করাই। আসামীরা আমাকে বলে তোমার ছেলে তরমুজ চুরি করেছে। এ কারনে আমরা পিটিয়েছি।

আসামী সবুজ বলেন, ছাব্বির রিফাত আমাদের তরমুজ চুরি করেছে। রিফাতকে আমরা ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। আমরা মারধর করিনি।