নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ডাকা সারা দেশে চলমান নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠকের পরে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বেতন এ মাস থেকেই ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার  টাকা বাড়ানোর ঘোষণার আশ্বাসে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। বিকেল থেকেই কাজে ফিরবেন শ্রমিকরা।

এর আগে, ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় নৌযান শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হল- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।

এর আগে, একই দাবিতে বিক্ষোভ করে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলো নৌযান শ্রমিকেরা।