পটুয়াখালীতে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক মাঠ দিবস

পটুয়াখালীতে সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর আয়োজনে বোরো ধান চাষাবাদের মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত।
২৬ এপ্রিল বুধবার সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর আয়োজনে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে” ভ্রাম্যমান সোলার পাম্প ও উন্নত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে বোরো ধান চাষাবাদের মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ ”শীর্ষক এক টি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ ও মাটির লবনাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচীর অর্থায়নে উক্ত অনুষ্ঠানে ব্রিরসিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. দেবজিৎ রায় ও মোঃ বেলাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী সদর এর এসএপিপিও জনাব মো: আব্দুস সালাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জনাব আকলিমা খাতুন ও জনাব মোঃ আব্দুল হাই এবং ৮০ জন কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান ব্রি আবিস্কৃত ভ্রাম্যমান সোলার সিস্টেম দিয়ে সেচ প্রদান এবং আধুনিক চাষাবাদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বল্লভপুর গ্রামে প্রায় ৪০ বিঘা পতিত জমিতে আধুনিক ধানের জাত ব্রি ধান ৬৮, ব্রি ধান ৭৪ এবং ব্রি ধান ৮৯ এর একটিব্লক প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়।
ড. দেবজিৎরায় বলেন, ৩৯০০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সোলার পাম্পের সাহায্যে ভূ-পরিস্থ পানি দিয়ে সেচ প্রদান এবং উন্নত জাত ও কলাকৌশল প্রয়োগ করে উক্ত এলাকায় বোরো ধান উৎপাদন করা হয়। এতে যেমন জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সেচ খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছেন। ব্রির এসএসও মোঃ বেলাল হোসেন উল্লেখ করেন উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলে ভূপরিস্থ পানি সহজলভ্য এবং শুধুমাত্র একটি সোলার পাম্প অথবা এলএলপি দিয়ে সহজে সেচ প্রদান করে পতিত জমিতে বোরো ধানের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
উক্ত কর্ম সূচীর মাধ্যমে চলতি মৌসুমে পটুয়াখালী, বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় এ ধরনের ব্লক প্রদর্শণ ীবাস্তবায়িত হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল তিন টি জাতের ফলন দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে উপস্থিত কৃষকগণ জানান আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে ধান উৎপাদন করে তারা অনেক লাভবান হয়েছেন। পরবর্তি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।