পানির ৮৫০ মিটার গভীরে ডুবোজাহাজ

বালি উপকূল থেকে ৫৩ জন ক্রু নিয়ে যাত্রা করা ইন্দোনেশিয়ার ডুবোজাহাজটি ডুবে গেছে বলে গতকাল শনিবার জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। তারা এর আগে ‘হারিয়েছে’ শব্দটি ব্যবহার করলেও এখন বলছে ‘ডুবে গেছে’। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
নৌবাহিনী প্রধান জানান, বুধবার জাহাজটির হারিয়ে যাওয়ার স্থানে জাহাজটির কিছু যন্ত্রাংশ ও একটি জায়নামাজ পাওয়া গেছে।
স্ক্যানারের মাধ্যমে ৮৫০ মিটার বা ২৮শ’ মিটার গভীরে ডুবোজাহাজটি শনাক্ত করা গেছে। তবে এত গভীরে পানির চাপে জাহাজটি অক্ষত থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এ ছাড়া জাহাজে তিন দিনের অক্সিজেন ছিল, যা শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতেই ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।
টর্পেডো নিয়ে অনুশীলনের অনুমতির চাওয়ার পর ডুব নিয়ে নিখোঁজ হয় কেআরআই নাংগালা নামের ডুবোজাহাজটি। জার্মানির তৈরি ৪০ বছরেরও বেশি পুরোনো জাহাজটি ২০১২ সালে সংস্কার করা হয়।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জোর দিয়ে বলছে, যাত্রার শুরুতে সাবমেরিন ভালো অবস্থায় ছিল। কিন্তু সাগরে ছড়ানো তেল থেকে ভাবা হচ্ছে, ফুয়েল ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।
নৌবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ইউদো মারগোনো সংবাদ সম্মেলনে জানান, অনুসন্ধানে পাওয়া বিভিন্ন অংশ সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যা বাইরে থেকে কোনো চাপ বা টর্পেডো লাঞ্চারে কোনো ধরনের আঘাত না লাগলে বের হয়ে আসার কথা নয়।
উদ্ধার করা বস্তুর মধ্যে রয়েছে পেরিস্কোপ তৈলাক্তকরণে ব্যবহৃত গ্রিজের একটি বোতল। এসব ভগ্নাংশ যেখানে পাওয়া গেছে তার ১৬ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো জাহাজ চলাচল করেনি।
ডুবোজাহাজের তল্লাশিতে একাধিক দেশ অংশগ্রহণ করেছে।
কেআরআই নাংগালা-৪০২ ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিনের মধ্যে একটি।
এটি ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল। মাঝখানে মেরামতের জন্য এটিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুই বছর পর ২০১২ সালে এটির মেরামত কাজ শেষ হয়।