প্রতারণা মামলায় বিসিসির সাবেক কাউন্সিলর কারাগারে

প্রতারণা মামলায় বিসিসির সাবেক কাউন্সিলর কারাগারে

একটি প্রতারণা মামলায় বরিশাল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল হকসহ দুই জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


গতকাল সোমবার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক পলি আফরোজ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মাইনুল ছাড়াও অপরজন হলেন নগরীর পলাশপুর এলাকার হানিফ হাওলাদার। 

তাদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন নগরীর পদ্মাবতী এলাকার বাসিন্দা আ. রব।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারী আসামীরা চরবদনা মৌজায় জমি দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে নগদ ৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন। ওইদিনই সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ওই জমি রেজিস্ট্রি করেন তারা। কিন্তু আসামীরা তাকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে টালবাহানা করে। জমির দখল না পেয়ে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের কাছে টাকা ফেরত চায় সে। এ সময় আসামীরা তাকে ভয়বীতি দেখায়। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর আদালতে এই মামলার প্রতিবেদন দেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। আদালত আসামীদের সমন দিলেও আদালতে হাজিরা দেননি তারা। গত ৭ জানুয়ারি আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠন হয়। ওই দিনই আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন আদালত। গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামীরা জামিনের আবেদন করেন। ওইদিন বাদির সঙ্গে আপোষের শর্তে পরবর্তী ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত আদালত আসামীদের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। কিন্তু আসামীরা বাদির সঙ্গে আপোষ না করে গতকাল সোমবার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 এদিকে বরিশালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যরিস্টার প্রমিথ আমিনুল পরশকে হত্যা চেস্টার মামলায় সাবেক কমিশনার মো. ইউনুসকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ গতকাল সোমবার এই নির্দেশ দেন। 

গত বছরের ২৩ অক্টোবর নগরীর সদর রোডের শাহজাহান চৌধুরীর বাড়ির বাসিন্দা ব্যরিস্টার প্রমিথ আমিনুল পরশের বাসায় ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে সাবেক কমিশনার মো. ইউনুসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন ব্যরিস্টার পরশের বাবা ডা. একেএম আমিনুল হক।