বঙ্গবন্ধু না মোশতাক-জিয়া-এরশাদ-খালেদার নীতিতে দেশ চলছে

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, 'দেশ বঙ্গবন্ধুর চার নীতিতে চলছে, না কি মোশতাক-জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার নীতিতে চলছে।'
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, চার মূলনীতিকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খোন্দকার মোশতাক ভিন্ন ধারায় চলতে শুরু করে। সেই পথ ধরে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়াও চলেছে। সেই পথ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী পথ।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে দেশরক্ষা অভিযাত্রার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, একবার খালি মাঠে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল। একই পদ্ধতিতে দ্বিতীয়বার ডাকাতি করা যায় না। ২০১৮ তে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতে শেষ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও জানে না ভোট হয়ে গেছে।
‘দু:শাসন হঠাও, ব্যবস্থা বদলাও, বিকল্প গড়ো’ এই স্লোগান নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিপিবি।
দেশে লুটপাট চলছে অভিযোগ করে সিপিবি সভাপতি বলেন, 'পুকুর কাটা শিখতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে চলে যায়। দুর্নীতি অনাচারে দেশ ছেয়ে ফেলেছে। একটা ধর্ষণের বিচার হয় ৯৯টার হয় না'।
সিপিবি সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আজ জিজ্ঞেস করতে চাই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর চার নীতিতে চলছে নাকি মোশতাক-জিয়া-এরশাদ-খালেদার মুক্তবাজার, লুটপাট, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতার নীতিতে চলছে?'
সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললেন মদিনা সনদে দেশ চলবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে নাকি মদিনা সনদ অনুযায়ী চলবে? তাহলে সংবিধান পরিবর্তন করে সেখানে মদিনা সনদ লিখে দেন।
তিনি বলেন, ''এখন প্রতিযোগিতা চলছে খালেদা জিয়ার বেশি না শেখ হাসিনার বেশি ‘ইসলাম পছন্দ’। এই প্রতিযোগিতা দিয়ে দেশ এগুবে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পথে ফিরতে হবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এসব বুর্জোয়া দলের হাতে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল, এখন তারা বিশ্বাসঘাতকায় নেতৃত্ব দেওয়া দলে পরিণত হয়েছে''।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত। যদি একাত্তরে অস্ত্র হাতে সংগ্রাম ন্যায়সঙ্গত হয় তাহলে একইভাবে লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন সংগ্রাম রচনা আমাদের কর্তব্য।
সিপিবি চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক মৃণাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালনা করেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা।
বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফী রতন ও লীলা চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।