বরগুনার বেতাগীতে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ, ৫২ হাজার চিংড়ি নিধণ

বরগুনার বেতগীতে শত্রুতার জের ধরে মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে ৫২ হাজার পরিমান চিংড়ি পোনা ও ৫ হাজার পরিমান কাতল মাছ নিধণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় দশ লক্ষ টাকা ও ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মৎস্য খামার মালিক।
উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর করুণা গ্রামের আকন মৎস্য খামার নামক মৎস্য ঘেরে আনুমানিক ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে বিষ প্রয়োগ করা হয়ছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে উপজেলার উত্তর করুণা গ্রামের বাসিন্দা মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ ব্যাংক এশিয়া ও অগ্রনী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৪০ শতাংশ নিজ মালিকানা সম্পত্তির উপর একটি মৎস্য খামার পরিচালনা শুরু করেন। শুরু থেকে সবকিছু ভালো চলে আসলেও কিছুদিন যাবৎ নানা কারনে এলাকায় বিত্তবানদের সাথে শত্রুতা শুরু হয়েছে বলে জানান খামার মালিক মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন, এলাকার কিছু বখাটেদের মৎস্য ঘেরের মধ্যে বসে মাদক সেবনে বাধা দিলে ও এলাকায় মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে সোচ্চরতা হয়ে এসপি মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে এই শত্রুতার জের শুরু হয়। যার পরিনতি আজকের আমার মৎস্য ঘেরে হাজার হাজার মাছ নিধণ।
এমন আসামজিক কর্মকান্ড শুনে সরেজমিন পরিদর্শন করেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান, মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব, অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিয়া, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান।এমন বিব্রতকর ও অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আশ্রয় নিয়ে আসা হবে বলে খামার মালিককে আস্বস্ত করেন।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোস্তফ আল রাজিব বলেন, স্বাভাবিকভাবে এক সাথে এতগুলো মাছ মারা যাওয়া অসম্ভব। ঘেরে বর্তমানে যে পরিমান মাছ এখন আছে সেগুলো রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় বিষ নাশক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কমরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।