আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চগুলোতে বিশেষ সার্ভিসের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১২ মে থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিসের অগ্রিম টিকিটের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র বা আবেদন সংগ্রহ করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ মে পর্যন্ত চাহিদাপত্র গ্রহণ করা হবে।
১৭ মে থেকে যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশেষ সার্ভিসের কেবিন ও সোফার টিকিট যাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
১২ মে থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিসের অগ্রিম টিকিটের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র বা আবেদন সংগ্রহ করছে সুরভী লঞ্চ কোম্পানি।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের চলাচলরত তাদের ৩টি লঞ্চে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য পূর্বের ন্যায় আবেদন নেয়া হচ্ছে। পরে যাচাই বাছাই করে টিকিট নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের হাতে দেয়া হবে।
অন্যদিকে ১১ মে থেকে সরাসরি যাত্রীদের কাছে স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানি।
সালমা শিপিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস জানান, এমভি কীর্তনখোলা, এমভি মানামী, এমভি টিপু ও গ্রীণলাইনসহ অন্যান্য লঞ্চ কোম্পানিগুলো নগদ ভিত্তিতে ঈদ সার্ভিসের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। যারা আগে আসছেন তারাই এসব লঞ্চের টিকিট পাচ্ছেন।
তবে লঞ্চ কোম্পানি গুলোর সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঈদে টিকিট বা আগে আসার ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করা হলেও যারা নিয়মিত যাত্রী তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর পর নতুন যাত্রীদের বিষয় বিবেচনা করা হবে।
উলে¬খ্য, এবারের ঈদে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে সরাসরি ২৩টি বেসরকারি যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল করবে। এর মধ্যে গ্রীণ লাইন ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির দুটি ও অ্যাভেঞ্চার কোম্পানির একটি জাহাজ দিবা সার্ভিসে চলবে।