বরিশাল-মাওয়া মোটরসাইকেলে ১৫০০ টাকা

বরিশাল-মাওয়া মোটরসাইকেলে ১৫০০ টাকা

সারা দেশে করোনার সংক্রমন রোধে সরকারের দেয়া লকডাউনে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলসহ বরিশালের সকল যান ও নৌ যোগাযোগও বন্ধ। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থান থেকে যাতায়েতের জন্য দূরপাল্লার কোন যান চলাচলের জন্য না পেয়ে মোটরসাইকেলে বরিশাল আসছে প্রতিদিন। এছাড়া গত রোববার বেলা ১টার দিকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকার চেকপোস্টে জোরালো তৎপরতা ছিলো না। তৎপরতা না থাকায় চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বিভিন্ন রকমের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়।

রোববার (১১ জুলাই) রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড ঘিরে মোটরসাইকেলের দাপট। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শিক্ষা বোর্ড অবদি যাত্রীর জন্য ৩০টির মতো মোটরসাইকেল দাড়িয়ে আছে। যাত্রীর সঙ্গে চলছে ভাড়া নিয়ে দেন দরবার। অন্যদিকে যাত্রীরা মোটরসাইকেলে চড়ে মাওয়া থেকেও আসছে বরিশালে। 

মাওয়া থেকে বরিশাল আসা মোটরসাইকেল চালক তানভীর ভোরের আলোকে জানায়, ‘সকালে একট্রিপ নিয়ে আসলাম আবারও যাত্রী খুজছি।মোটরসাইকেল চালক তানভীর আরও জানায় একজন ১৫০০ টাকা ভাড়ায় আসছি।’

বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে থেকে মাওয়াগামী যাত্রী রফিক হাওলাদার জানায়, ‘নিরুপায় হয়েই ১৫০০ টাকায় মাওয়া যাচ্ছি তবে রফিক হাওলাদার এর সাথে ভাই থাকায় দুজন ১৭০০ টাকা ভাড়ায় মাওয়া যাচ্ছে।’

বরিশাল কাশীপুর এলাকার মটর চালক জানায়, ‘লকডাউনে আমাদের সব বন্ধ তাই  মোটরসাইকেল নিয়ে এমন যাত্রা মাওয়া থেকে আসছি একজন নিয়ে ১৫০০ টাকায়।মাওয়া থেকে বরিশালের  পথে চেকপোস্টে আগের দিনগুলোর মতো তল্লাশি নেই তবে একজন যাত্রী থাকলে তেমন জিগ্যেস করে না।’

মাওয়া থেকে বরিশাল আসা যাত্রীরা জানায়, খুব ভোরে ফেরীতে পার হয়ে অন্য যান না পাওয়ায়  মোটরসাইকেলে চড়ে বরিশাল এসেছি পথে তেমন তল্লাশি না থাকায় দ্রুত এসেছি তবে ভাড়া অসহায়হীন হয়েই ১৫০০ টাকায় বরিশাল আসতে হয়েছে।