বরিশালে করোনাকালীন সময়ে বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফি’র জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ

বরিশালে করোনাকালীন সময়ে স্কুলের সমুদয় বকেয়া বেতন এবং পরীক্ষার ফি’র জন্য অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে নগরীর সাগরদী এ. ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বকেয়া বেতন না দিলে আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র দেওয়া হবে না বলে স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকী দেয়ওার অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
চাপ সৃষ্টির অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এ. ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম। তার দাবী নন এমপিও কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য অর্থ নেওয়া হচ্ছে। তবে যারা অস্বচ্চল তাদের টাকা নেবেন না কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকালে নগরীর রূপাতলী এ. ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভীড় দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেন, করোনাকালে বিদ্যালয়ে এতো শিক্ষার্থীর জড়ো হওয়া আশঙ্কাজনক। তারপরও শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক ডেকে বকেয় বেতন ও বার্ষিক পরীক্ষার ফির জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের অনেকেই অনলাইন ক্লাস করেননি। এতদিন স্কুল কর্তৃপক্ষেরও এ নিয়ে তেমন আগ্রহও ছিল না। হঠাৎ করে গত ৮ অক্টোবর তাদের মুঠোফোনে জানানো হয়- ১১ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফি জমা দিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে যেতে হবে। ১২ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষা দিয়ে উত্তরপত্র স্কুলে জমা দেবে। এ জন্য তাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়েছে। টাকা মওকুফের আবেদন করলেও তাদের সাথে দুর্ব্যহার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ. ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে লুকোচুরির চেষ্টা করেন। তিনি দাবি করেন, ফি না দিলে উত্তরপত্র দেয়া হবে না এমন কোন হুমকী স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। তারা বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর বকেয়া বেতন মওকুফ করেছেন। প্রয়োজনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বেতনও মওকুফ করা হবে।