বরিশালে কোয়ারেন্টিন থেকে আরও ১০৬ জনের ছাড়পত্র

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের তিন জেলায় নতুন করে ৪৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের (বাড়িতে পৃথক কক্ষে) আওতায় নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ না পাওয়ায় ১০৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা তিনজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে কোয়ারেন্টিন থেকে ১০৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।এসব ব্যক্তির বেশির ভাগই বিদেশফেরত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় ২ হাজার ৮০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এর মধ্য থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বরগুনা জেলায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা তিনজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত বিভাগে কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ১ হাজার ৩৪৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি, বাকি তিন জেলায় ৪৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং ১০৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজন ও ভোলায় একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, করোনা সন্দেহে রোগী ভর্তি করা হলেও এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। শেবাচিম হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।