বরিশালে প্রথম বারের মতো উৎসব মূখর গণেশ পূজা

বরিশালে প্রথম বারের মতো সার্বজনীন ভাবে গণেশ পূজা উদযাপন হচ্ছে।
আজ বুধবার ৩১ আগষ্ট বরিশাল নগরীর কাউনিয়া প্রধান সড়ক শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দিরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বেলা ১২ টায় পূজা শুরু হয়ে যজ্ঞানুষ্ঠান,আরতি,পুষ্পান্জলী শেষে মন্দিরে প্রসাদ বিতরণ হবে এবং সন্ধ্যায় আরতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
গণেশ পূজা বিশেষ উপলক্ষ্যে ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর পরিক্রমা ও বিসর্জন অনুষ্ঠান। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান গণেশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে, স্বাতী নক্ষত্র এবং সিংহ রাশিতে। ভাদ্রপদ মাসের গণেশ চতুর্থী কলঙ্ক চতুর্থী এবং দন্ড চৌথ নামেও পরিচিত।হিন্দু ধর্মে, চতুর্থী তিথি ভগবান গণেশকে উত্সর্গ করা হয়।
শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার মন্দির কমিটির সভাপতি পার্থ সাহা বলেন, ‘বরিশালে এমন আয়োজন করেছি সবাইকে নিয়ে উৎসব উদযাপন করবো বলে সবাই আমন্ত্রণ গণেশ পূজার উৎসবে।’
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি মাসের কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি গণেশ চতুর্থী হিসাবে পালিত হয়। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী হিসাবে পালিত হয় এবং শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি বিনায়ক গণেশ চতুর্থী হিসাবে পালিত হয়। সমস্ত দেব-দেবীর মধ্যে গণেশ হলেন প্রথম পূজিত দেবতা। ভগবান শিব গণেশকে এই বর দিয়েছিলেন। যে কোনো শুভ কাজে এবং আচার-অনুষ্ঠানে প্রথমেই ভগবান গণেশের পূজা করা হয়।সনাতন ধর্ম এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে, ভগবান গণেশকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা প্রদানকারী, বাধা বিঘ্নহর্তাকারী, শুভ, সুরক্ষা, সিদ্ধি, সমৃদ্ধি, শক্তি এবং সম্মানদায়ক দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।