বাকেরগঞ্জে ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গিয়ে এএসআই গুরুতর আহত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী বাজারে ৬টি জুয়েলারীতে (স্বর্নের দোকান) ডাকাতি হয়েছে।
গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে এই ডাকাতীর সময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের এএসআই জসিম গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে ২-৩টি স্পীডবোট যোগে একদল দুর্বৃত্ত বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী বাজারে পৌঁছায়। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাজারের নৈশপ্রহরীদের হাত বেঁধে একটি ওষুধের দোকানে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল কলসকাঠী বাজারে গিয়ে ডিবি পরিচয়দানকারীদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় টহল পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই জসিমের মাথায় পেছনে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এতে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা ওই বাজারের লক্ষ্মী জুয়েলার্স, কলসকাঠী অলঙ্কার ভবন, কানাই কর্মকারের স্বর্নের দোকান, পাল অলঙ্কার ভবন, সোনার গহনা ভবন সহ ৬টি স্বর্নের দোকান থেকে অর্ধশতাধিক ভরি স্বর্ণলংকার, শতাধিক ভরি রূপা এবং নগদ কয়েক লাখ টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ডাকাতীর পর পুলিশের আহত এএসআই জসিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করা হয়। সেখান থেকে ওই রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সকালে তাকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল সকালে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী বাজার পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।