বরিশালে এক্স-রে পরীক্ষায় নির্ধারিত মূল্যের বেশি রাখায় বেলভিউ মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড নামে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার শুনানী শেষে ওই জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহ্ শোয়াইব মিয়া।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ ভাগ অর্থ (৫ হাজার টাকা) অভিযোগকারী কলেজ ছাত্রী উম্মে মারজান ছোয়াকে প্রদান করেন কর্তৃপক্ষ।
কলেজ ছাত্রীর বাবা নাজমুল হক সেলিম জানান, তার মেয়ে ছোয়া বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ¯œাতক সম্মান তৃতীয় বর্ষের ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী। গত মাসে শ্বাসকস্ট জনিত কারণে চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমানের স্মরনাপন্ন হয়। চিকিৎসক তাকে এক্স-রে করাতে দেয় এবং বেলভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে বলেন। গত ১৬ জুন নগরীর সদর রোডের বেলভিউ ডায়াগনেস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে সে। এ সময় এক্স-রে’র বিল রাখা হয় ৪৫০ টাকা। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে ২৪ জুন একই এক্স-রে নগরীর মেডিনোভা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে করে সে। এ সময় তার কাছ থেকে এক্স’র বিল রাখা হয় ৩৫০ টাকা।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুন ছোয়া বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ করায় গত ৩০ জুন বেলভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে অভিযোগকারীকে হুমকী দেন। হুমকীর বিষয়টিও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে জানানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানী করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহ্ শোয়াইব মিয়া জানান, ডায়াগনষ্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিল সকল প্রতিষ্ঠানেই এক রেট (মূল্য) হওয়ার কথা। শুনানীতে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিল রাখার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ভোক্তা সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বেলভিউ মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেলভিউর পক্ষে পরিচালক লিয়াকত আলী লিকু শুনানীতে উপস্থিত থেকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী ভোক্তাকে জরিমানার ২৫ ভাগ অর্থ হিসেবে ৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বেলভিউ মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক লিয়াকত আলী লিকু এ ধরণের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ভোক্তার সাথে প্রতারণার দায়ে বেলভিউ মেডিকেল সার্ভিসেসের ২০ হাজার টাকা জরিমানা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এ ধরণের প্রতারণার শিকার কেউ আইনের সহায়তা চাইলে সিটি মেয়র তাদের সহায়তা দেবেন বলে জানান বিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু।