ভাঙ্গায় ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১০

ভাঙ্গায় ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১০

ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী ও ছোট হামিরদী গ্রামের দুটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ, ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকাসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়। 

এ ব্যপারে শনিবার বেলা ১১টায় ভাঙ্গা থানা চত্বরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তথ্য প্রদান করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা। 

ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গা থানার হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী গ্রামে দেলোয়ার ফকিরের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ঐ দিনই দেলোয়ার ফকির বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। এ মামলায় হামিরদী গ্রামের চুন্নু মাতুব্বর (৩৫) ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে হামিরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী গ্রামের কাজী ফাহাদ ইসলাম শোভনের বাড়িতে ডাকাতি হয়। তিনি ঐ দিনই ভাঙ্গা থানায় ডাকাতি মামলা করেন। 
পুলিশ ডাকাতি মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি চুন্নু মাতুব্বরকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ভাঙ্গা থানার পুলিশ ভাঙ্গা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ঢাকার পলাশ কর (২৮) কে ডাকাতির স্বর্ণ কেনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধানজাইল গ্রামের ইসলাম মোল্লা (৫২) ও পদ্মবিল গ্রামের বেলায়েত শেখ (৩৫), ভাঙ্গার ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের হাবিব মুন্সী (৪৫) ও মোশা বেপারী (৪৫), ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের বদিউল আলম (৫০), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাতলা গ্রামের ফরিদ খাঁ, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভলিভদ্রদী গ্রামের ওবায়দুর মাতুব্বর (২৬), ভাঙ্গার বাররা গ্রামের সুজন সর্দার (৩৯), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরবাহাড়া গ্রামের সহিদুল শেখ (৩৩)।

ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে ৪ ভরি আট আনা গলিত স্বর্ণ, ১টি স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ফোন ৭টি, ১টি ল্যাপটপ, ১টি ট্যাব, নগদ ৫৪ হাজার আটশত টাকা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডাকাত শহিদুল শেখের কাছ থেকে ১টি দেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তার নামে পুলিশ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে শনিবার সকালে মামলা করেছে। অন্য ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, ডাকাত দলের এই ১০ সদস্যকে গত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।


ভোরের আলো/ভিঅ/২৬/১২/২০২০