ভাসানচরে পৌঁছেছেন রোহিঙ্গা নেতারা

বসবাসের উপযোগী কি না তা দেখতে কক্সবাজারের শরাণার্থী শিবিরের দুই নারীসহ ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতা শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছেন। ঘিঞ্চি শরণার্থী শিবির থেকে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ওই দ্বীপে পাঠানোর অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগে একই দিন ভোরে ওই রোহিঙ্গা নেতারা ভাসানচরে উদ্দ্যেশে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট শরণার্থী শিবির থেকে রওয়ানা দেন।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দল ভাসানচরে পৌঁছেছে জানিয়ে সেনাবাহিনীর রামু-১০ পদাতিক ডিভিশনের মুখপাত্র মেজর ওমর ফারুক বলেন, ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতার একটি প্রতিনিধি দল শনিবার ভোরে ভাসানচর দেখতে রওয়ানা দেন। দুপুরে তারা চট্রগ্রামে পৌঁছান। সেখান থেকে জাহাজে করে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে যান।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভাসানচর দেখতে যাওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা মুঠোফোনে জানান, বিকাল ৫টার দিকে আমরা ভাসানচরে পৌঁছেছি। এরপর একটি কক্ষে আমাদের ভাসানচরের আবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়ে তৈরি ভিডিওচিত্র দেখান সেখানকার কর্মকর্তারা। রাত হয়ে যাওয়ায় রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ভাসানচরের যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে যে শঙ্কার কথা শুনছিলাম এখানে এসে সেটি মনে হয়নি। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এতো ভালো ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে নিয়ে আসার জন্য।
কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে যাচ্ছেন। সরকারের আশা, রোহিঙ্গা নেতারা দেখে গিয়ে বোঝালে ভাসানচর যেতে রাজি হবেন শরণার্থীরা। এই দলের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের কোনও সংস্থার প্রতিনিধি বা গণমাধ্যমর্কীরা থাকছেন না। তবে আগে থেকে আরআরআরসি কার্যালয়ের তিন কর্মকর্তা ভাসানচরে অবস্থান করছেন।
হাতিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) গোলাম ফারুক বলেন, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দলটি বিকাল ৫টায় ভাসানচরে পৌঁছান। তাদের সেখানে একটি সেন্টারে রাখা হয়েছে। মূলত সরকারের ঊর্ধ্বতন কৃতপক্ষ বিষয়টি দেখছেন।
জাতিসংঘসহ শরণার্থীদের মানবিক সেবাদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতার পরও কমপক্ষে এক লাখ শরণার্থীকে ওই দ্বীপে স্থানান্তর করার লক্ষ্যে চলমান সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।