মঠবাড়িয়ায় অবুঝ কন্যা সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার

মঠবাড়িয়ায় অবুঝ কন্যা সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গাপুল নামক স্থানের এলাকার একটি বাড়ির ভেতর থেকে একই পরিবারের ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

৩১শে জুলাই শুক্রবার সকালে স্বামী, স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যা সন্তান সহ তিনজনকে
ঘরের ভিতরে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

নিহত অটোচালক আয়নাল হক (৩৫) ও তার স্ত্রী খুকুমনি (২৬) পিছনে হাত বাঁধা,গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এবং তাদের একমাত্র কন্যা শিশুটির পিছনে হাত বাধাবিহীন অবস্থায় ঝুলন্ত ছিল। টিনসেটের কাঁচা ঘরটির জানালার পাশের মাটি গর্ত করা সিঁধ কাটা এবং ঘরের ভিতরে মালামাল কাপড়-চোপড় ছড়ানো-ছিটানো দেখা যায়। ঘরটিতে আয়নাল হক গত পাঁচ মাস ধরে স্ত্রী সন্তান সহ বসবাস করে আসছিল বলে জানা যায়।

নিহত আয়নালের আপন বড় বোন দুলিয়া জানান, কি কারনে আমার ভাইয়ের এমন মৃত্যু হল আমরা জানিনা। বাড়ির চাচাতো চাচা মালেকের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেটা মীমাংসা হলেই সামনের পৌষ মাসেই আমার ভাই গ্রামের বাড়িতে ঘর তুলে থাকার কথা। তিনি আরো জানান গত দুই মাস আগে তার আর এক প্রবাসী ভাই মালয়েশিয়ায় ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করার পর তাঁর শোক কাটতে না কাটতেই এ ভাইয়ের এমন নিশংস নির্মম মৃত্যু আমরা আর সইতে পারছি না।

ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে অনেক প্রশ্ন ওঠে। অনেকেরই ধারণা
যদি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটবে তবে পেছন হাত বাধা থাকার কথা না। নিশ্চয়, আত্মহত্যাকারীরা কেউই নিজের হাত পেছন দিক থেকে বাঁধতে পারবে না। এবং তিন বছরের শিশু কিভাবে গলায় ফাঁস দিতে পারে। তবে এর পেছনে কোনও চক্র আছে কী না- সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

পুলিশের ধারনা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরের সিঁধ কেটে ভিতরে ঢুকে পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় নৃসংশভাবে খুন করে পালিয়ে যায়।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান জানান,প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, পূর্ব বিরোধের কারনেই দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে তিন জনকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে, তদন্তকরে বিস্তারিত জানা যাবে।”