মঠবাড়িয়ায় স্কুল জমির উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণে হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফা মিরুখালী খালের একাংশ ও বাদুরা থেকে ভান্ডারিয়াগামী ভূতা খালে বেড়িবাঁধ নির্মানে হুমকির মুখে পড়েছে সোবাহান শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও নির্মানাধীন একটি অফিস ভবন। এছাড়াও ভরাট করা হতে পারে সুপেয় পানি পান করার একটি পুকুরের আংশিক এবং অপসারন করা হতে পারে তৎসংলগ্ন প্রায় ৩০ লাখ টাকার সরকারী বরাদ্দে নির্মিত একটি পানির সাপ্লাই।এগুলো নিরাপদ রাখার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ - ১ এর আওতায় পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় বেড়িবাঁধ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ এ কাজ শেষ হতে পারে। কাজ শুরুর আগেই জমির মালিকদের জমি অধিগ্রহন সহ বেড়িবাঁধের নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দেশিকা কাঠি পুঁতে রাখা হয়েছে। এতে বাদুরা সোবাহান শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও নির্মানাধীন একটি অফিস ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র মিত্র জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও নির্মানাধীন অফিস ভবনে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এগুলো নিরাপদ রেখে বেড়িবাঁধ নির্মানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কোন আপত্তি নেই।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোবাহান শরীফ জানান, এলাকার মানুষের খাবার পানির একমাত্র পুকুর সহ সাপ্লাই ও বিদ্যালয় সীমানার পাশ কাটিয়ে বেড়িবাঁধ নেওয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।পানির সাপ্লাই ও বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিরাপদ রাখতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
মিরুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ জানান, বেড়িবাঁধ ও স্কুল দুটোই সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সেক্ষেত্রে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ডিসি স্যার স্হানীয়দের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান দিতে পারেন।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, কোন ঘটনা ঘটার আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সমাধানে যেতে পারতো। এখন নিয়ম অনুযায়ী ও আইনগতভাবেই বিষয়টি সমাধান করা হবে।