মনে করি খুব ভালো নির্বাচন হয়েছে: ইসি সচিব

মনে করি খুব ভালো নির্বাচন হয়েছে: ইসি সচিব

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার দায় প্রার্থীদের বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।তিনি বলেন, আমরা তো মনে করি খুব ভালো নির্বাচন হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সাতজন নিহত ও ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ নির্বাচনী সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এর দায় প্রার্থী ও তাদের অনুসারীদের।’    ইসি সচিব বলেন, ‘এত বড় নির্বাচন। ৮৪৫ ইউনিয়নে ভোট হলো। আমরা তো মনে করি খুব ভালো ইলেকশন হয়েছে। দু’একটি ঘটনা, যেমন যে যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কেন্দ্রগুলো আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। ছয়টা জায়গায় আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, সেই ছয়টা জায়গায় কেন্দ্রেই ভোট বন্ধ করা হয়েছে।’

হুমায়ুন খন্দকার বলেন, ‘আমরা যেটা নরসিংদীতে দেখেছি, ওই যে রায়পুরাতে, এটি সকাল বেলা প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মারা গেল। আরেকটি ঘটনাতেও প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে ইমোশনাল হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, একপর্যায়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ যতগুলো ঘটনা ঘটেছে এভাবেই ঘটেছে। নিঃসন্দেহে এটা খুব দুঃখজনক। কিন্তু এতো বড় নির্বাচন, আমরা যদি গত ২০১৬ সনের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে এটি কোনো ব্যাপারই… ইয়ে মানে তুলনাই করতে পারেন না। অনেক কম, অনেক কম।’

ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের বিষয়টি হলো-একটি জীবনও যাতে না যায়। এটি হলো আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা। এটি আমরা মনে করি পরবর্তী যে নির্বাচন হবে-যারা প্রার্থী আছে, প্রার্থীর অনুসারী আছে এবং অন্যান্য সেবাগ্রহীতা যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে, সবাই সহনশীল হবেন। এবং আমরা মনে করি এটি, পরবর্তীতে আরো ভালো নির্বাচন হবে। হতাহতের ঘটনা আরো কম ঘটবে। পরবর্তী নির্বাচনে যে যে জায়গায় ত্রুটি হচ্ছে সেটা তো আমরা ধরতে পাচ্ছি এবং আমরা আরো কঠোর হব এবং ভাল নির্বাচন হবে।’

 ইসি সঠিক ভূমিকা নিলে সহিংসতা এড়ানো যেত বলে অনেকে মনে করছেন, এক্ষেত্রে আপনারা দায় নেবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘এ দায় অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের নয়। এই দায়টি হলো, যারা প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, আমি বলব যে তারা তাদের অনুসারীদের দায় এটা। ধরুন, এই যে একটি ঘটনা ঘটলো। অভিযোগ হলো আমরা কিন্তু তদন্তে দিই। প্রতিবেদন আসলেই কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনারা দেখবেন যে, এই যে শরীয়তপুরে আমরা দেখেছি সকল প্রার্থীদের জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে বলেছে যে, শুধু মাত্র বিনা প্রতিদ্বনি্বতায় জিতবে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দেখেছি। এটি সত্য বলে প্রতীয়মান হওয়ার সেই ইউপির তফসিলই আমরা বাতিল করে দিয়েছি। নতুন করে আবার নির্বাচন হবে। অর্থাৎ যেই যেই জায়গায় সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে সেগুলোর ওপর কমিশন কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’