সাম্প্রদায়িত শক্তিকে উৎখাত করে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার দ্বায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদেরই নিতে হবে

সাম্প্রদায়িত শক্তিকে উৎখাত করে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার দ্বায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদেরই নিতে হবে

 

সাম্প্রদায়িত শক্তিকে উৎখাত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার দ্বায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদেরই নিতে হবে। জাতির পিতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তা ’৭৫ পরবর্তি সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ইতিহাস বিকৃতি হিসেবে তারা ‘মহান মুক্তিযুদ্ধকে “গন্ডগোল” আখ্যায়িত করে প্রচারনা চালিয়েছিল। জিয়া সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। তখন সরকারী চাকুরীতে কোন লোক মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকুরী করতে পারেনি। চাকুরী হারানোর ভয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাও পরিচয় দেয়নি তারা। বর্তমানে চাকুরী ও শিক্ষা ভর্তিতেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু রয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন ভাতা প্রাপ্তির পাশাপাশি মাসিক ২০হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন আর পূর্ববর্তি সরকারের সময়ে সেই ভাতা দেয়া হতো ৩শ টাকা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করে তাদের জন্য সকল ধরনের সাহায্য সহযোগীতা আর সম্মান অব্যাহত রেখেছেন। 

তাই অ-সাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনারায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান অনুষ্টানের প্রধান অতিথি জাতির পিতার ভাগ্নে, মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, দক্ষিণাঞ্চলীয় মুজিব বাহিনীর প্রধান আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (এমপি)। 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শহীদ সুকান্ত আবদুল্লাহ অডিটোরিয়মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই পদ্মা সেতুসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের ভাগ্যরে উন্নয়ন ঘটেছে। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দক্ষিণাঞ্চল বাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান তিনি। 

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন, গৌরনদী পৌর মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আও উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাসগুপ্ত, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, মন্ত্রীর একান্ত সচিব খায়রুল বাশার, গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগনসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। 

পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা কৃষক কুলের নয়নমনি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট নাতি, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ’র হাতে ডিজিটাল সনদপত্র প্রদানের মধ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদপত্র এবং স্মার্ট কার্ড বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন। উপজেলায় ৫৬৪জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিজিটাল সনদপত্র এবং ও স্মার্ট কার্ড পাবেন।