স্বাচিপের নতুন সভাপতি জামাল ও মহাসচিব কামরুল

স্বাচিপের নতুন সভাপতি জামাল ও মহাসচিব কামরুল

সবচেয়ে কম আলোচিত দুই চিকিৎসককে আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতৃত্বে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনারস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরীকে ও মহাসচিব হয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন।

শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংগঠনের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে এ দুজনের নাম ঘোষণা করা হয়। সভাপতি ও মহাসচিবের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর শাহবাগসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাত বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছিল। সম্মেলন সফল করতে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্বাচিপের নেতাকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। তাদের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক, অনেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন।

এবারের সম্মেলনে সবার নজর ছিল স্বাচিপের সভাপতি ও মহাসচিব পদের দিকেই। কমিটি নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। ফলে কারা আসছেন এই দুই পদে- তা শেষমুহুর্ত পযন্ত নিশ্চিত হতে পারছিলেন না কেউ। তবে স্বাচিপের বিভিন্ন পযায়ের নেতা-কর্মীদের মুখে যাদের নাম শোনা গেছে বেশি এবং সম্ভাব্য তালিকার শীর্ষে ছিলেন- তাদের কেউ-ই সভাপতি ও মহাসচিব হননি। এমন দু’জনকে এই দুই পদে আনা হয়েছে, যারা স্বাচিপ রাজনীতিতেও কিছুটা আড়ালে ছিলেন। ফলে কমিটির দুই শীর্ষ পদে নাম ঘোষণার পরপরই স্বাচিপের মধ্যে এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়।

নাম ঘোষণার আগে ওবায়দুল কাদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজের নেতৃত্বাধীন স্বাচিপের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, স্বাচিপের নতুন কমিটি হবে সম্পূর্ণ নতুন। স্বাচিপের নতুন কমিটিতে যারাই দায়িত্বে আসছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে সভাপতি ও মহাসচিব হিসেবে দুজনের নাম ঘোষণা করা হবে। পরে আলোচনা সাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি ৫ বছর পর সংগঠনটির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে সময়মতো স্বাচিপের সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।