হাইকোর্টের বিচারপতিগণ মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে : ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজকে দেশে কোথাও গণতন্ত্র নেই। ১৫ দিনে ২৪ হাজার বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেফতার হলো। এটি একটি ফ্যাসিবাদী নমুনা।
তিনি বলেন, আজকে অনেক আওয়ামী লীগার বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর কথা বলেন এবং বইটি বিলিও করেন। কিন্তু বইতে বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ লিপিবদ্ধ আছে তা আওয়ামী লীগের নেতারা বাস্তবায়ন করেন? তারই কন্যা আজ আইনকে নির্বোধ বানিয়ে অপব্যবহার করছেন।
শুক্রবার বিকালে প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মী ডা. জাফরুল্লাহ'র কাছে ফুলের তোড়া দিয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদে যোগদান করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।
জাফরুল্লাহ বলেন, হাজী সেলিম ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ থাকলেও তাকে জামিন দেয়া হয়। কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বয়োজ্যেষ্ঠ খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। হাইকোর্টের বিচারপতিগণও আজ মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে। আজকে সবাই সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হতে না পারলেএ বৈষম্য থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজকে সরকারের এক মন্ত্রী বললেন- কে সাধারণ সম্পাদক হবেন তা নির্ধারণ করবেন একজন। বড় বড় দলে এই সমস্যা। নেতাকর্মীদের ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা যায় না। যদিও তাই হতো তাহলে কর্মীদের প্রতি নেতাদের ভালোবাসা ও কমিটমেন্ট ঠিক থাকতো।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির দেয়া ২৭ দফা নিয়ে বলেন, এখানে আরও কাজ করতে হবে। আজকে আমরা কথা বলতে পারি না, মিছিল করতে পারি না। করতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। পুলিশ অনুমতি দেয়ার কে? মিছিল সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না এটিও দফাতে উল্লেখ রাখতে হবে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যাদের জন্য দিনের ভোট রাতে করেছেন তারাই আপনাদের চাকরিচ্যুত করছেন। আপনারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করুন। গরীবের ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। বড়লোকের টাকা খান।
স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্রনীতিতে সরকার সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ আজ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। যাদের অর্থ আছে তারাই চিকিৎসা করতে পারছেন। ওষুধের দাম আকাশচুম্বী, সেদিকে সরকারের নজর নেই। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যােগ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, চা খাওয়ার আমন্ত্রণ করে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলায় আজ দুই বছর যাবৎ মাওলানারা জেলখানায়। অথচ, খুনী, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিজু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুর রহমান, আবু ইউসুফ সেলিম, বাবুল বিশ্বাস, জামিল আহমেদ, আরিফুর রহমান, হাবিবুর রহমান, রাজু আহমেদ প্রমুখ।