হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ

করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে ঈদের তৃতীয় দিন থেকে কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করছে মানুষ। রবিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত রিকশায় যাতায়াত করছে মানুষ। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাইনবোর্ড থেকে পায়ে হেঁটে রাজধানীর দিকে প্রবেশ করছে মানুষ।
আসমা আক্তার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের চিলারবাগ এলাকায় থাকেন। একমাত্র কন্যা সন্তানে আফসানার গত ১০ দিন ধরে ডায়রিয়া থাকায় তাকে নিয়ে মহাখালী শিশু হাসপাতালে যাবেন। তিনি জানান, সোনারগাঁও থেকে রিকশা দিয়ে কাঁচপুর আসছি। সেখান থেকে আরেক রিকশায় সাইনবোর্ড পর্যন্ত আসলাম। এখন কোন গাড়ি পাচ্ছি না। হেঁটে দেখি কতোটুকু যাওয়া যায়।
আসিফ আহমেদ রূপগঞ্জের তারাবো এলাকা থেকে রিকশায় ভেঙে ভেঙে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল পর্যন্ত এসেছেন। তার গন্তব্য রাজধানীর যাত্রাবাড়ী।তিনি জানান, শিমরাইল থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত রিকশা ভাড়া চায় ১০০ টাকা। তাই হেঁটে সাইনবোর্ডে আসলাম। সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ী ২২০ টাকা রিকশা ভাড়া চায়। বাকি পথও হেঁটেই যাবো। এতো টাকা ভাড়া দেয়া সম্ভব না।
রফিকুল ইসলাম সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর থেকে রিকশায় সাইনবোর্ড এসেছেন। রাজধানীর পোস্তগোলা যাবেন। তিনি জানান, আমার বড় ভাই গুরুতর অসুস্থ। তাকে দেখতে যাবো। রিকশাভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। আমি শনিরআখড়া পর্যন্ত হেঁটে যাবো। দেখি বাকি রাস্তা রিকশায় যেতে পারি কিনা।
মহাসড়কের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে কথা হয় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মহাসড়কে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোন গাড়ি বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।