‘শেখ হাসিনা বিশ্বের দুর্গতদের কণ্ঠস্বর’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা, আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো শোষিতের কণ্ঠস্বর। আর এখন শেখ হাসিনাকে বলা হয় বিশ্বের দুর্গতদের কণ্ঠস্বর।’
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কাউন্সিল হলে মুজিববর্ষ ও মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু ও মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামানসহ পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তা বোধের চেতনা থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার একটাই পরিচয়; বাঙালি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। তিনি দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝেছিলেন বাঙালি জাতীয়তা বোধে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আনা সম্ভব নয়। আর ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আনতে না পারলে বাঙালির মুক্তি কোনোদিন সম্ভব নয়। বাঙালি জাতিসত্তা, স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এসেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি। আমাদের আদর্শ বঙ্গবন্ধুর, আর নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। আমাদের সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধু না থাকলেও তার রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা রয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের আর্কিটেক্ট শেখ হাসিনা। তিনি গোটা জাতিকে নিয়ে ক্লান্তহীন এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনা দেখাতে পেরেছেন।’
শেখ হাসিনার কারণেই আজ বাংলাদেশের আকাশে বিজয়ের পতাকা ‘সগৌরবে পতপত করে উড়ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ যুদ্ধাপরাধীদের দম্ভ দেখতে হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশ থেকে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তাদের উত্তর প্রজন্ম এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে, বিজয়ের পতাকা যেন শকুনরা আবার ছিনিয়ে নিতে না পারে। অবিরাম লড়াইয়ের ভেতর থেকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।’