কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৪৩ বছরের জরাজীর্ণ ডাকঘর ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৪৩ বছরের জরাজীর্ণ ডাকঘর ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ৪৩ বছরের পুরনো ও জরাজীর্ণ ডাকঘর ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে দাফতরিক কার্যক্রম। উপজেলার কলেজমোড় এলাকায় অবস্থিত এই ভবনটি ১৯৮১ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন ডাক, তার ও টেলিফোন মন্ত্রী এ. কে. এম. মাইদুল ইসলাম উদ্বোধন করেন। তবে এর পর থেকে ভবনটির আর কোনো সংস্কার হয়নি।

একতলা এই ভবনটির পাঁচটি কক্ষের মধ্যে বর্তমানে কেবল একটি কক্ষে ডাকঘরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সম্পূর্ণ অকেজো। ভবনের বাইরের দেয়ালে শেওলা জমেছে, আর ভেতরের পলেস্তারা বিভিন্ন জায়গায় ধসে পড়েছে। ভবনের শৌচাগার ও পোস্ট মাস্টারের আবাসিক অংশও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অফিস শেষে স্ট্যাম্প, নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থানায় জমা রাখতে হয়। সকালে অফিস খোলার পর সেগুলো পুনরায় থানায় গিয়ে আনতে হয়। নিরাপত্তার অভাব ও দুর্বল অবকাঠামো সেবাগ্রহীতাদের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে একজন পোস্ট মাস্টার, একজন অপারেটর, একজন প্যাকার, একজন রানার এবং একজন ইবি নৈশ-প্রহরীসহ ছয়জন কর্মী এখানে কাজ করছেন। তারা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাক আদান-প্রদান ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এলাকাবাসী মিজানুর রহমান, সবুজ, আলমগীর, আরাফাতসহ অনেকে ডাকঘর ভবনটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, "উপজেলায় নানা উন্নয়ন হলেও ডাকঘরটির দিকে কেউ নজর দেয় না। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।"

উপজেলা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, "আমরা অফিসটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।"