বরিশালে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন

বরিশালে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন

বরিশালে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে গর্ভবতী ও ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই ভ্যাকসিনের আওতায় পড়বে না। টিকা সংরক্ষণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিভিল সার্জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মী, বয়স্ক এবং সরকারের তালিকাভুক্তরা। ভ্যাকসিন প্রয়োগে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। যারা ভ্যাকসিনের আওতায় পড়বে তাদের তথ্য একটি এ্যাপসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। 

বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, বরিশালে প্রথম পর্যায় ৬০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষমাত্রা রয়েছে সরকারের। তবে গর্ভবতী এবং ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে না। বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নীচতলার একটি কক্ষে ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ভ্যাকসিন রাখার জন্য স্টিলের সেলফ বসানো হয়েছে। একই কক্ষে আইস ল্যান্ড রেফ্রিজারেটর (আইএলআর) সিস্টেমেও ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে। ওই কক্ষে ১ লাখ থেকে সোয়া ৪ লাখ পর্যন্ত ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আইএলআর এ ধারণ ক্ষমতা ৭ হাজার ১০০ ভায়েল। প্রতিটি ভায়েলে ১০টি করে ডোজ থাকবে। 

সিভিল সার্জন আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগে থেকেই আইএলআর এর মাধ্যমে ওই তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ হতো। করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত ভ্যাকসিন সরিয়ে তা খালি করা হচ্ছে। যাতে করোনা ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে তা সংরক্ষণ করা যায়। 

স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাসপাতাল ভিত্তিক টিকা দেয়া শুরু হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার আওতায় যারা থাকবে এবং যাদের টিকা দেয়া হবে এসব তথ্য স্থানীয়ভাবে অনলাইনে মাইক্রো প্লানিং এ্যাপসে আপলোড দেয়া হবে। এতে যে কেউ এ তথ্য জানতে পারবে বলে।