"আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি : ট্টেড ইউনিয়নের প্রত্যাশা"

"আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি : ট্টেড ইউনিয়নের প্রত্যাশা"

আগামী১৭ মার্চ সোমবার আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নের সর্বশেষ অগ্রগতি  নিয়ে  জেনেভায় একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে আইএলও গভর্নিং বডি। এরই  প্রেক্ষিতে  আজ
 জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আইটিইউসি- বাংলাদেশ কাউন্সিল,  ইন্ডাস্ট্রিঅল - বাংলাদেশ কাউন্সিল ও পিএসআই এনসিসি ফর বাংলাদেশের  যৌথ উদ্যোগে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত  হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইটিইউসি- বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক  ও বর্তমান শ্রম সংস্কার কমিশনের উল্লেখযোগ্য  সদস্য সাকিল আখকার চৌধুরী। 
তিনি বলেন,

এই রোডম্যাপটি সরকার ২০১৯ সালে আইএলও তে ৮১, ৮৭,৯৮ কনভেনশনসমুহের লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগের উপর প্রনয়ণ করেছিল। বর্তমান সরকারের পক্ষ হতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও এ যাবৎকাল দেশে শ্রমিক অধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত উন্নয়ন উল্লেখযোগ্যভাবে দৃশ্যমান নয়। 
ইতিমধ্যে  ট্রেড ইউনিয়ন সমর্থন সংস্থাগুলো যেমন ইউনিয়ন টু ইউনিয়ন ,  ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন আইটিইউসি- এপি, ইউএনআই  বিডব্লিউআই যৌথ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের সাথে একাধিক পরামর্শ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে অগ্রগতি মুল্যায়ন করা হয়। এতে দেখা গেছে ১৭ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে সরকার কতৃক  প্রতিবেদনটি কতুটুকু বাস্তবমুখী সে বিষয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

আইএলও রোডম্যাপে মুলত চারটি প্রধান ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে:

★শ্রম আইন সংস্কার,  ★ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, 
 ★শ্রম পরিদর্শন ও বাস্তবায়ন ★শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক 
ও অন্যায্য শ্রম আচরণ এবং সহিংসতা মোকাবেলা।

 সরকারকে প্রতি ছয় মাসে আই.এলও-তে এই চারটি ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে, যা বাস্তবসম্মত নয়। ট্রেড ইউনিয়নগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, তাদের বেশিরভাগ সুপারিশ এখনও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বাক্ষরিত ১৮ দফা ত্রিপক্ষীয় চুক্তিকে বড় অর্জন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন শিল্প এলাকায় এর বাস্তবায়ন আশানুরূপ নয় বলে আমরা মনে করি।

ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মো : শহীদুল্লাহ্ বাদল ট্রেড ইউনিয়ন সংক্রান্ত জটিলতা বিষয়ের জবাবে বলেন,
ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি এখনও বেশ জটিল। সরকারের প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, অনলাইন ও
অফলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সমান্তরাল নয়। অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে এর মুদ্রিত কপি জমা না দিলে আবেদন পুনরায় জমা দিতে হয়। এছাড়া, আইনত নির্ধারিত ৫৫ দিনের মধ্যে আবেদনও প্রক্রিয়াকরণ করা উচিত হলেও এটি আরও বেশি সময় নিচ্ছে। 
প্রক্রিয়াটি আরোও সহজতর করা প্রয়োজন। বিদ্যমান প্রক্রিয়ায় ট্টেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকলে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনে কম আগ্রহ প্রকাশ করবে বলে তিনি জানান।
আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলে পিএসআই- এনসিসি ফর বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দা আজিজুন্নাহার প্রমুখ।